ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিষিদ্ধ করতে হবে আওয়ামী লীগকে: নাহিদ ইসলাম নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে পদত্যাগ করব ‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের ম্যারাডোনার চিকিৎসার নথিপত্র জব্দ করেছে পুলিশ আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছেলের চুরির অভিযোগে মাকে নাকে খত, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘দ্রুত নির্বাচন না দিলে পরিণতি বিগত সরকারের মতোই হবে’-শামসুজ্জামান দুদু তিস্তায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন, সিদ্ধান্তের দায়িত্ব বাংলাদেশের সংলাপে বসলো ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী আন্দোলন ‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ তুলে ধরলেন মাহফুজ আলম ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫ মাহফুজ ও আসিফের সরকার থেকে সরে আসা উচিত: এনসিপি নেত্রী আওয়ামী লীগের কারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন, জানালেন রিজভী হয় চুপ্পুকে সরান-লীগকে ব্যান করেন, আর না হয় নিজেরা সরে যান-হান্নান মাসউদ আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চয়নিকা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার : ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা, পুলিশের ছুটি বাতিল-প্রস্তুত মিসাইল ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের কানাডা থেকে যে বার্তা দিলেন শমিত

মানবদেহ মহাকাশ ভ্রমণের উপযোগী নয়

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০৪:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০৪:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন
মানবদেহ মহাকাশ ভ্রমণের উপযোগী নয়
মানবদেহ মহাকাশ ভ্রমণের উপযোগী নয়। দীর্ঘদিন মহাকাশে অবস্থান করলে নভোচারীদের হাড় ও পেশির ক্ষয় ছাড়াও দৃষ্টিশক্তি, রক্তচাপ, কিডনি ও হার্টসহ নানা শারীরিক এবং মানসিক জটিলতা দেখা দেয়। পৃথিবীর সীমানার বাইরে নানা শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন মহাকাশচারীরা। তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

পৃথিবী থেকে প্রায় ২৫০ মাইল ওপরের কক্ষপথে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত। নাসা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে গবেষণা চালাচ্ছেন। যা আসলে পৃথিবীতে বসে সম্ভব নয়। একটা লম্বা সময় সেখানে অবস্থানের কারণে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে।

মানবদেহের গঠন ওজনহীনতা মহাকাশের পরিবেশের জন্য উপযুক্ত না। মাইক্রোগ্র্যাভিটি বা কম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, উচ্চ মাত্রার বিকিরণ, অভিযোজন, প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের বাইরে থাকার কারণে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়া, রক্তচাপ, কানের ও শরীরের ভারসাম্য এবং সমন্বয়ের সমস্যা, মানসিক চাপ, ঘুমের ব্যাঘাত, মেজাজ খিটখিটে হওয়ার মতো নানা জটিলতায় ভোগেন নভোচারীরা।

দীর্ঘ সময় মহাকাশে অবস্থান করলে নভোচারীর হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়, দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি। শরীরের তরল প্রবাহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়। চোখের সমস্যার সঙ্গে শরীরের কোষ ও টিস্যুতে ঘটে পরিবর্তন। মহাবিশ্বে উচ্চ-শক্তির বিকিরণের সংস্পর্শে বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি। এছাড়া, ডিএনএ, মস্তিষ্ক, হার্টের সমস্যার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে নভোচারীদের।

বেশিরভাগ শারীরিক সমস্যা আস্তে আস্তে ঠিক হলেও কিছু জটিলতা রয়ে যায়। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে এখন গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মাহাকাশচারীদের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দূর করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান এই সার্জন।

লিড ফ্লাইট সার্জন ড. স্টিভ্যান গিলমোর বলেন, ‘কোনো মিশনে যাওয়ার আগে নভোচারীদের আইকিউ টেস্ট নেয়া হয়। কারণ তারা ফিরে আসার পর কী প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পরীক্ষা করা হয়। তারা এ সময়ের পরিবর্তনগুলো পরিমাপ করতে পারে কিনা তা বুঝা যায়। গেল প্রায় ২৪ বছর যাবত নভোচারীদের নিয়ে কাজ করছি। একেকটি মিশন কখনও এক বছরেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। তখন তাদের জীবনের নিত্যদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোও নিয়মিত তাদের জানানো হয়।’

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নভোচারীদের শারীরিক অবস্থা মূলত মিশনের সময়কালের ওপর নির্ভর করে। স্বল্পমেয়াদি মিশনে ৯৫ শতাংশই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে কয়েক মাস বা বছর কাটানোর ক্ষেত্রে কিছু মহাকাশচারী দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধকতায় পড়েন।

লিড ফ্লাইট সার্জন ড. স্টিভ্যান গিলমোর বলেন, ‘শরীরের বেশিরভাগ সিস্টেমই ৪৫ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে হাড় ও ক্যালসিয়াম পূরণে একটু বেশি সময় নেয় এবং অনেক সময় তা পুনরুদ্ধার হয় না। মহাকাশে থাকাকালীন হারানো ক্যালসিয়াম ফিরে পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।’

নভোচারীদের মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, পেশি, কিডনি, ত্বকের পরিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ ও রক্তচাপ নিয়ে সম্প্রতি বেশকিছু গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, যারা গড়ে প্রায় সাড়ে ৫ মাস মহাকাশে ছিলেন পৃথিবীতে ফিরে আসার এক বছর পর তাদের হাড়ের ক্ষয় বেড়েছে গড়ে ২ দশমিক ১ শতাংশ। হাড়ের শক্তি কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। যা পরে আর পুনরুদ্ধার হয়নি। ২০২৪ সালে ২৬ সপ্তাহ মহাকাশে থাকা নভোচারীদের ৯০ শতাংশই মাথাব্যথার কথা জানিয়েছেন।

মহাকাশযান কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে তা নিয়ে এখনো অনেক তথ্য অজানা। দীর্ঘসময় ধরে মহাকাশ ভ্রমণ, নভোচারীদের ফুসফুসের কার্যকারিতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে তথ্য খুব কম। এছাড়াও, প্রজনন ক্ষমতার ওপর সীমিত গবেষণাও পরিচালিত হয়েছে।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
নিষিদ্ধ করতে হবে আওয়ামী লীগকে: নাহিদ ইসলাম

নিষিদ্ধ করতে হবে আওয়ামী লীগকে: নাহিদ ইসলাম